জাহান্নামে গেলে যেমনি একজন মুসলমানের কষ্ট হবে, তেমনি একজন অমুসলিমেরও কষ্ট হবে। তাই শুধুমাত্র মুসলিমদেরকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর লক্ষ্যে দাওয়াতি কাজ আঞ্জাম দেওয়াটাই যথেষ্ট হতে পারে না। অবশ্যই অমুসলিমদের মাঝেও দাওয়াতি কাজ ব্যাপকভাবে বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।অমুসলিম দাওয়াতি অভিযান চলছে। আপনার আশেপাশে কত অমুসলিম আছে, তাদের প্রতি মায়াবী দৃষ্টিতে একটু তাকান, অথবা চোখ বন্ধ করে হৃদয়ের চোখ মেলে তাদের কথা একবার ভাবুন, ঈমান না এনে মৃত্যুবরণ করলে পরকালে তাদের কী দশা হবে, সেটা আমাদের সবার কাছেই স্পষ্ট। অথচ তাকে সে কঠিন পরিণাম থেকে রক্ষার জন্য আমরা সাধ্যের আলোকে চেষ্টা করতে পারি৷ সেটাই আমাদের ঈমানের দাবি। মমত্ববোধের সাথে তাদেরকে দ্বীনের মর্মবাণী বুঝানোর চেষ্টা করতে পারি আমরা। আর আল্লাহর কাছে তাদের হেদায়াতের জন্য দোয়া করতে পারি বিশেষভাবে। হতেও তো পারে, তাকে আপনি সিরাত্বল মুস্তাকিমে হাঁটতে দেখে চোখ জুড়াতে পারবেন!আর ভেবে দেখুন, আমাদের সমাজে ইসলামী রাষ্ট্রের কী অপব্যাখ্যাই না চলমান! অনেকে ধারণা করে বসে আছে, ইসলামী রাষ্ট্রে বোধ হয় অমুসলিমরা থাকতেই পারবে না। অথচ ব্যাপারটা কখনই তেমন নয়। বরং ইসলামী রাষ্ট্রেই একজন অমুসলিম তার সর্বোচ্চ নিরাপত্তার গ্যারান্টি পাবে। ইসলামী নিয়মবিধান শুধুমাত্র একজন মুসলিমের জন্যই নয়, বরং সকল মানুষের জন্য আল্লাহ প্রদত্ত কল্যাণকর দ্বীন তথা জীবনব্যবস্থা। এই কথাটি বুঝাতে পারলে অমুসলিমরাও ইসলামী রাষ্ট্রের জন্য প্রত্যাশা করতে পারবে। চলুন, তাদের সাথে সম্পর্ক গড়ি, বন্ধু বানাই আর দাওয়াতের কাজের পথ প্রসার করি।আপনাদের ভাইমোঃ সিরাজুল ইসলাম(কেন্দ্রীয় সভাপতি) বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির

Published by Imam mahedi

I am a muslim

One thought on “জাহান্নামে গেলে যেমনি একজন মুসলমানের কষ্ট হবে, তেমনি একজন অমুসলিমেরও কষ্ট হবে। তাই শুধুমাত্র মুসলিমদেরকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর লক্ষ্যে দাওয়াতি কাজ আঞ্জাম দেওয়াটাই যথেষ্ট হতে পারে না। অবশ্যই অমুসলিমদের মাঝেও দাওয়াতি কাজ ব্যাপকভাবে বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।অমুসলিম দাওয়াতি অভিযান চলছে। আপনার আশেপাশে কত অমুসলিম আছে, তাদের প্রতি মায়াবী দৃষ্টিতে একটু তাকান, অথবা চোখ বন্ধ করে হৃদয়ের চোখ মেলে তাদের কথা একবার ভাবুন, ঈমান না এনে মৃত্যুবরণ করলে পরকালে তাদের কী দশা হবে, সেটা আমাদের সবার কাছেই স্পষ্ট। অথচ তাকে সে কঠিন পরিণাম থেকে রক্ষার জন্য আমরা সাধ্যের আলোকে চেষ্টা করতে পারি৷ সেটাই আমাদের ঈমানের দাবি। মমত্ববোধের সাথে তাদেরকে দ্বীনের মর্মবাণী বুঝানোর চেষ্টা করতে পারি আমরা। আর আল্লাহর কাছে তাদের হেদায়াতের জন্য দোয়া করতে পারি বিশেষভাবে। হতেও তো পারে, তাকে আপনি সিরাত্বল মুস্তাকিমে হাঁটতে দেখে চোখ জুড়াতে পারবেন!আর ভেবে দেখুন, আমাদের সমাজে ইসলামী রাষ্ট্রের কী অপব্যাখ্যাই না চলমান! অনেকে ধারণা করে বসে আছে, ইসলামী রাষ্ট্রে বোধ হয় অমুসলিমরা থাকতেই পারবে না। অথচ ব্যাপারটা কখনই তেমন নয়। বরং ইসলামী রাষ্ট্রেই একজন অমুসলিম তার সর্বোচ্চ নিরাপত্তার গ্যারান্টি পাবে। ইসলামী নিয়মবিধান শুধুমাত্র একজন মুসলিমের জন্যই নয়, বরং সকল মানুষের জন্য আল্লাহ প্রদত্ত কল্যাণকর দ্বীন তথা জীবনব্যবস্থা। এই কথাটি বুঝাতে পারলে অমুসলিমরাও ইসলামী রাষ্ট্রের জন্য প্রত্যাশা করতে পারবে। চলুন, তাদের সাথে সম্পর্ক গড়ি, বন্ধু বানাই আর দাওয়াতের কাজের পথ প্রসার করি।আপনাদের ভাইমোঃ সিরাজুল ইসলাম(কেন্দ্রীয় সভাপতি) বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির

Leave a reply to Imam mahedi Cancel reply

Design a site like this with WordPress.com
Get started